বড়াইগ্রামে শিক্ষক-ছাত্রীর আপত্তিকর ভিডিও উদ্ধার করতে তুলকালাম কান্ড

বড়াইগ্রামে শিক্ষক-ছাত্রীর আপত্তিকর ভিডিও উদ্ধার করতে তুলকালাম কান্ড

নাটোর প্রতিনিধি:
৬৫ বছরের এক প্রাইভেট শিক্ষকের সাথে ১৫ বছর বয়সী ১০ম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীর আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে বিপাকে পড়েছে এক কলেজ ছাত্র। মোবাইলে ধারণ করা ওই ভিডিও নিয়ে ওই কলেজ ছাত্র ও সংশ্লিস্ট স্কুল ছাত্রী নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে নাটোরের বড়াইগ্রামের জোয়াড়ি ইউনিয়নের কুমরুল গ্রামে আশ্রয় নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। ওই প্রাইভেট শিক্ষকের পাঠানো ভাড়াটে ৯ যুবক ৪টি মোটরসাইকেল নিয়ে আশ্রয় নেওয়া ওই ছাত্রী ও ভিডিও ধারণকারী কলেজ ছাত্রকে কুমরুল গ্রামে খুঁজে পায়। তবে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় অবশেষে তারা রক্ষা পায়।
জানা যায়, বাগাতিপাড়ার দয়ারামপুর মিস্ত্রিপাড়ায় কামাল হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন একটি বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শাজাহান হোসেন (৬৫)। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালে। তিনি ওই এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ান। এক পর্যায়ে ধুপইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণীর এক ছাত্রীর উপর নজর পড়ে তার। পরবর্তীতে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেন তিনি। ঘটনার দিন মঙ্গলবার সকালে তার ভাড়া বাড়িতে এসে প্রাইভেট পড়তে বলেন ওই শিক্ষক। সকাল ৭টার দিকে ওই ছাত্রী আসলে তাকে নির্জন কক্ষে নিয়ে যায় এবং প্রলোভন সহ ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয় ওই শিক্ষক। এ ঘটনা টের পেয়ে বাড়ির মালিকের ছেলে স্থানীয় একটি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শাকিব হোসেন ওই অনৈতিক কার্যকলাপের ভিডির ধারণ করে। এ সময় ওই শিক্ষক জানতে পেরে ভিডিওটি মুছে ফেলার জন্য ওই কলেজ ছাত্রের হাতে-পায়ে ধরেন। পরবর্তীতে এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে শাকিব ও ওই ছাত্রী নিজ এলাকা ত্যাগ করে বড়াইগ্রামের কুমরুল গ্রামের এক আতœীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এ দিকে ভিডিওটি উদ্ধার করে মুছে ফেলার জন্য শিক্ষক শাজাহান মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে স্থানীয় যুবক সবুজ, হালিম ও ডালিমকে দায়িত্ব দেয়। ওই তিন যুবকসহ ৯ যুবক ৪টি মোটর সাইকেল যোগে বিভিন্ন এলাকা তল্লাশী করে শাকিব ও ওই ছাত্রীকে খুঁজে পায়। তবে কুমরুল গ্রামের লোকজনের সহায়তায় তারা ভিডিওটি উদ্ধার করতে পারেনি। বিষয়টি জানাজানি হলে, ওই গ্রামে জড়ো হয় স্থানীয় বিভিন্ন ওয়ার্ডের সদস্য, সাংবাদিক ও থানা পুলিশের সদস্য। পরে রাত ৮টার দিকে ওই ছাত্রীর মাকে ডেকে আনা হয় এবং তার কাছে মেয়েকে তুলে দেওয়া হয়। অপরদিকে ভিডিও ধারণকারী ওই কলেজ ছাত্র নিজ বন্ধু-বান্ধব ও আতœীয় স্বজনের সহযোগিতায় বাগাতিপাড়া থানায় হাজির হয়ে এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করে।
বড়াইগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এই বিষয়ে বাগাতিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন